গত কয়েক দিন ধরেই ঘোষিত তফসিল পেছানোর বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। নির্বাচন কমিশন প্রথমে এ নিয়ে চুপ থাকলেও অবশেষে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি বিএনপিসহ বড় দলগুলোর নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে। যদি তারা পর্দার অন্তরালে আলাপ-আলোচনা বা জোটবদ্ধ হয় তাহলে বিষয়টি (তফসিল) পেছানোর সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, বড় রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে আসলে তফসিল পেছানো নিয়ে সংবিধানে সুযোগ আছে। তবে সময়মতো নির্বাচন না হলে সংবিধানে একটি শূন্যতা তৈরি হবে। তাই সময়মতো নির্বাচন হবে।
আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে কে আসলো কে আসলো না, এটা আমাদের বিষয় নয়। কেউ না আসতে চাইলে তাদের আনার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা চিঠি দিয়েছি। নিবন্ধিত ৪২টি দল আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কত পার্সেন্ট (শতাংশ) ভোট পড়ল সেটা বিষয় নয়। নির্বাচন নির্বাচনের গতিতে হবে। সংবিধানে লেখা নেই কত ভোট সংগ্রহ হতে হবে।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যে করার স্বার্থে ঘোষিত তফসিল পেছানো এবং সব দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের প্রতি অনুরোধ জানান জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ।
এ বিষয়ে আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, সংবিধানের সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন কমিশন চাইলে তফসিল পেছাতে পারে, এতে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচনের বিষয়টা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের হাতে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। দলটি নির্বাচনে না আসলে অংশগ্রহণমূলক হবে না, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।