গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বেলারুশের শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়।
বিবৃতিতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে অবৈধ শাসক হিসেবে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলে আটক ১ হাজার ৫০০ জনকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, লুকাশেঙ্কোর অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাধারণ নাগরিকদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া করে লুকাশেঙ্কোর ক্ষমতার অপব্যবহার, বিরোধীদের দমন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত আট ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই অভিযোগে লুকাশেঙ্কো প্রশাসনের আরও অন্তত ১০১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে কানাডার বৈশ্বিক সম্পর্কবিষয়ক বিভাগ গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স এক বিবৃতিতে জানায়, বেলারুশে পদ্ধতিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে দেশটির ৯ ব্যক্তি ও সাত প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটির যেসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ইউক্রেন-সংকটের বিষয়ে রাশিয়াকে সমর্থন করছে, তাদের লক্ষ্য করেই মূলত এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ড একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।