মাত্র দুই বছর বয়সের শিশুকন্যা আয়েশা। বোঝে না আইন-আদালত, না বোঝে অপরাধ। সে চায় বাবার আদর, স্নেহ, ভালোবাসা। হাতকড়া হাতে বাবাকে কাঠগড়ায় দেখে ছুটে যেতে উদগ্রীব হলো সে।
এমনই এক ঘটনার সাক্ষী ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার এই আদালত প্রাঙ্গণে সব বাধা ডিঙিয়ে জয় হলো বাবা-মেয়ের ভালোবাসার।
বিচারক মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে শিশু আয়েশার বাবা সুমনকে পুলিশ মাদক মামলায় হাজির করে। সে সময় বাবার হাতে ছিল হাতকড়া ও এজলাসে ছিল পুলিশের কড়া পাহারা। শিশু আয়েশা ওর মায়ের সঙ্গে আদালতে হাজির হয়। বাবাকে কাঠগড়ায় দেখার সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। বাবার কোলে উঠবে সে। কিন্তু বাধ সাধে আইন।
বিধি মোতাবেক বন্দি আসামির কাছে কেউ যেতে পারবে না। কিন্তু বাবার কোলে যাওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করে আয়েশা। সে সময় বাধা দেয় পুলিশ। পরে আয়েশার কান্নার কাছে পুলিশও হার মানে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, আসামিকে আদালতে আনার সময় পুলিশ শিশু আয়েশাকে তার বাবার কাছে যেতে বাধা দেয়। কিন্তু আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা বাবা-মেয়ের এই আবেগঘন ভালবাসার চিত্র দেখতে উদগ্রীব। অনেকের চোখে আসে পানি। অবশেষে পুলিশও আয়েশার ভালোবাসার কাছে হার মানে।