নিম্নআয়ের মানুষকে বিড়ি সেবনে নিরুৎসাহিত করতে প্রতি প্যাকেট বিড়ির দাম সর্বনিম্ন ৫০ টাকা করাসহ আগামী বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিকরা।
এ সময় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে তারা তামাকজাত পণ্য উন্নয়নের কাজ করছেন। এ সময় তারা বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার দাবি জানান।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘২০২৩-২৪ বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে’ বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনের আয়োজন করেন টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিকরা। মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, তামাকজাত পণ্য উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রতিনিয়তই আমরা নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, মানসিক অবসাদ ইত্যাদির সম্মুখীন হই।
এ প্রক্রিয়ায় আমরা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে যুক্ত হয়েছি। তবে আমরা চাই তামাক পণ্যের ওপর উচ্চ কর আরোপ করা হোক এবং মূল্য বাড়ানো হোক। বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার সুযোগ দেওয়া হোক।
বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানানো হয়, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তামাক পণ্যের বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩.৯২ শতাংশ হবে।
প্রায় ১৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে ৪ লাখ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ও ৪ লাখ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
অন্যান্য স্তরের তুলনায় নিম্নস্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের ধূমপায়ীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করবে এবং উচ্চ স্তরগুলোতে সিগারেটের দাম বাড়ালে ধূমপায়ীদের সস্তা ব্র্যান্ড বেছে নেওয়ার আগ্রহ কমবে।
মানববন্ধন শেষে বিড়ি শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক স্বপ্না বেগম, জাহানারা বেগম, আসলাম মিয়া, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।