ফরিদপুর শহরের চামড়ার বাজার ও গুদাম পরিদর্শন করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রথমে তিনি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ী সড়কে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা কাঁচা চামড়ার গুদাম ঘুরে দেখেন। পরে শহরের বৃহত্তম কাঁচা বাজার হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে চামড়ার দোকানগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ফরিদপুরের চামড়ার বাজার পরিদর্শনকালে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ফরিদপুর বাজারে চামড়া সংরক্ষণের জন্য আড়ত নেই, যা আছে তা ব্যক্তি পর্যায়ে। জেলা প্রশাসককে বলব, চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় একটি বড় আকারের আড়ত করে সেখানে চামড়া সংরক্ষণ করা গেলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।’
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এবার সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারির কারণে চামড়া তেমন পাচার হয়নি। আর কোরবানির সময় চামড়ার বেশি সরবরাহের কারণে দাম কিছুটা কম থাকে। তবে চামড়া সংরক্ষণ করা গেলে এ সমস্যা হতো না। যদি এই চামড়া দীর্ঘদিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাবেন। বিশ্ববাজারে চামড়ার ব্যবহার কমে গেছে। বহুমুখী পণ্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্ববাজারে চামড়ার দাম কমে গেছে।
বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, ‘সাভারের চামড়াপল্লিতে সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টকে (সিইটিপি) সম্পন্ন করতে পারলে এবং লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ পেলে আমাদের ব্যবসায়ীরা চামড়ার ভালো দাম পাবেন। বর্তমানে আমরা চীনের বাজারে চামড়া রপ্তানি করছি, তখন আমরা বিশ্ববাজারে চামড়া রপ্তানি করতে পারব, ভালো দাম পাব। ফলে আমরা লাভবান হব।’
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াসিন কবির, ফরিদপুর চেম্বারের সভাপতি নজরুল ইসলাম, ফরিদপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ, ফরিদপুর চামড়া ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জানে আলম, শরীয়তুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নূর ইসলাম মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারের কোরবানি ঈদে ছোট–বড় মিলে প্রায় ৭০ হাজার কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করেছেন।