মাদারীপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে পাঁচটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন রঘুরামপুর এলাকার সুভাষ পোদ্দার (৩০), দ্বীপ পোদ্দার (১৮), লক্ষ্মী রানী পোদ্দার (৫০), স্বপন পোদ্দার (৪৫) ও জয় পোদ্দার (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার বালুর মাঠে ফুটবল খেলছিলেন কয়েকজন স্থানীয় যুবক। খেলার সময় জয় পোদ্দারের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় একই এলাকার রাজীব মোল্লার। এই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় রাজীব মোল্লা, নান্টু মোল্লা, পারভেজ মোল্লাসহ স্থানীয় প্রায় ৩০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জয় পোদ্দারদের বসতবাড়িতে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে আহত হন অন্তত ১০ জন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী জয় পোদ্দার বলেন, ‘ফুটবল খেলা নিয়ে রাজীব মোল্লার সঙ্গে আমার তর্ক-বিতর্ক হয়। তবে সেটা সেখানেই মিটমাট হয়ে যায়। পরে রাজীব তাঁর দলবল নিয়ে আমাদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালান। আমরা বাধা দিলে আমাদের ওপর তাঁরা হামলা চালান। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
ভুক্তভোগী লক্ষ্মী রানী পোদ্দার বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ অনেক লোকজন রামদা নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালাতে থাকেন। আমি তাঁদের নিষেধ করায় আমাকেও মারধর করেন তাঁরা। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য রাজীব মোল্লা ও নান্টু মোল্লার মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। আর পারভেজ মোল্লার নম্বরে কল ঢুকলেও তিনি ধরেননি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।