গাবতলীতে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, টিকিট না পেয়ে হতাশ

গাবতলীতে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, টিকিট না পেয়ে হতাশ

পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র দুদিন বাকি। ঈদুল আজহার ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড গাবতলী ও নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। পরিবার পরিজন নিয়ে নগরবাসী ছুটছেন শিকড়ের টানে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে সরকারি ছুটি। আর তখন আরও চাপ বাড়বে। অনেকেই ছুটির একদিন আগেই ছুটছেন গ্রামের পথে। রাজধানীর গাবতলীতে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
সোমবার (২৬ জুন) গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও অনেকে বাসের টিকিট পাচ্ছেন না। তবে বাস কাউন্টার থেকে বরা হচ্ছে, অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ। তবে কিছু টিকিট ছিল যা বিক্রি করা হয়ে গেছে।
ফল টিকিট না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। অনেকের চেহারায় দেখা গেছে বিরক্ত আর হত্যাশার ছাপ।
রাজশাহীর বাসিন্দা ইমরুল হাসান। থাকেন ধানমন্ডি এলাকায়। গাবতলী টার্মিনালে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘন্টা খানেক ধরে টিকিট কেনার চেষ্টা করছি। যে কাউন্টারে যাই শুধু বলে বিক্রি শেষ। টিকিট নাই।
অপরদিকে রাজধানীর মিরপুরে থাকেন সালাম বেপারী। যাবেন বরিশালে। গাবতলী এসে পুরাই হতাশ তিনি। টিকিট পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ভুল করেছি, সদরঘাট গেলে ভাল হতো।
টিকিট সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা জানতে চাইলে, হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার জাকির মোল্লা বলেন, ঈদের বিশেষ অগ্রিম টিকিট ১২ জুন থেকে বিক্রি শুরু হয়। এরই মধ্যে ২ জুলাই পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। যারা আগে থেকে যোগাযোগ করেছেন, তাদের জন্য অগ্রিম বুকিং কিছু টিকেট আছে।
তবে কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি, খুলনার যাত্রীদের অভিযোগ ভাড়া বেশী নেয়া হচ্ছে। তবে তা অস্বীকার করেছেন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। সোমবার শেষ কর্মদিবস হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে। কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলোর কেবিনের অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে। ফলে বাড়ানো হয়েছে লঞ্চের সংখ্যা। লঞ্চ বাড়ায় এখনও টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন যাত্রীরা। কয়েকটি রুটে যাত্রীর চাপ থাকলেও ঢাকা-বরিশাল রুটে চাপ কিছুটা কম।
কমলাপুর রেল স্টেশনে ভিড় বাড়ছে ঘরমুখো মানুষরা। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে বিক্রি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল থেকেই লাইন ধরে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন। তবে কোনো যাত্রী বিনা টিকিটে স্টেশনে ঢুকতে পারছেন না। খুশির কথা এবার ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনেও অভিযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে স্ব স্ব গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS