জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির মুখে পড়ছেন দেশের প্রান্তিক কৃষকেরা। এতে অনেক কৃষক দরিদ্র হয়ে পড়েন। দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কৃষিবিমা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কৃষকদের জন্য বিমা সহজলভ্য করার পাশাপাশি বিমার বিষয়ে তাঁদের সচেতন করে তোলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ মাইক্রোইনস্যুরেন্স মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (বিএমএমডিপি) প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা অনুষ্ঠানে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ‘ডিপ ডাইভ ইন বাংলাদেশ মাইক্রোইনস্যুরেন্স মার্কেট লার্নিং অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রকল্পের চার বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে ক্ষুদ্র বিমা খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থায়নে বিএমএমডিপি বাস্তবায়ন করেছে সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ। এতে সহযোগিতা করেছে সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন বিমা পণ্য, বণ্টন চ্যানেলের পাইলটিং ও পরীক্ষা, উপযুক্ত শস্য ও পশুসম্পদ বিমা শনাক্তকরণ, বিকাশ আর কর্মগবেষণা ও নীতিগবেষণা নিয়ে কাজ হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কৃষি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তা আমাদের অর্থনীতির ভিত্তিও। এতে লাখ লাখ মানুষ কাজ করেন। মাঠে-নদীতে আমাদের কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। কারণ, তাঁরাই আমাদের প্রকৃত উৎপাদক। দেশের কৃষিক্ষেত্রে বিমার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিমা চালু করেছে; কৃষকদের জন্য যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় পাঁচ লাখ কৃষক এই বিমায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। প্রকল্পটির পরবর্তী পর্যায়ে আরও বড় পরিসরে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি, এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর নিবন্ধন ও নিরীক্ষা পরিচালক আনোয়ার হোসেন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মইনুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আলমগীর কবির প্রমুখ।