রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে ১৫৫টি কেন্দ্রের সব কটির ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে এই ফল ঘোষণা করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন৷
নৌকার প্রার্থী খায়রুজ্জামান ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমকে। যদিও মুরশিদ আলম গত ১২ জুন রাতেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র প্রার্থী ছিলেন চারজন। জাকের পার্টির মেয়রপ্রার্থী লতিফ আনোয়ার পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট আর জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। তাঁদের দুজনের কেউই প্রচারে সেভাবে নামেননি।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ এবং নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। শতকরা ভোটের হার ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ। এবার ১৫৫টি কেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি বুথের সব কটিতেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও তাদের সঙ্গী দলগুলো সিটি নির্বাচন বর্জন করছে। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলন রাজশাহীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ব্যাপক প্রচার চালান।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো রাজশাহীর মেয়র নির্বাচিত হলেন খায়রুজ্জামান। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আগের তিনটি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে প্রথমবার মেয়র পদে জয়লাভ করেন খায়রুজ্জামান। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। এর মধ্যে ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেনের (বুলবুল) কাছে হেরেছিলেন খায়রুজ্জামান।
এবার রাজশাহীতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় প্রচার পর্বে ভোটের আমেজ ছিল কম। তবে আজ ভোটের দিন সকাল থেকেই অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।