চট্টগ্রাম বন্দর কলেজের অধ্যাপক কবি সেলিনা শেলীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অপতৎপরতার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর ও সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ্’র যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়
অপর এক বিবৃতিতে নিন্দা জানায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।
আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের বিবৃতিতে বল হয়, কবি সেলিনা শেলি ফেসবুকে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার এবং দুঃখ প্রকাশ করার পরও একটি গোষ্ঠী এ নিয়ে মাঠ ঘোলা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এইসব অপতৎপরতা বন্ধ ও সেলিনা শেলীকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে।
অপরদিকে, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কলেজের অধ্যাপক সেলিনা শেলীর ফেসবুকে প্রদত্ত একটি মতামতকে কেন্দ্র করে করে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাকে সাসপেন্ড এবং উদ্দেশ্যমূলক মহল কর্তৃক কুশপুত্তলিকা দাহের নিন্দা জানানো হয়। এবং সেলিনা শেলি কর্তৃক ফেসবুকে প্রদত্ত বক্তব্য প্রত্যাহার এবং দুঃখ প্রকাশের পরও এ বিষয়টিকে নিয়ে মাঠ ঘোলা করার পেছনে কারো কারো ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেলিনা আক্তার শেলী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কবি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে তিনি সুপরিচিত।
পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে আইনজীবীর নোটিশ, হাইকোর্টে রিটসহ নানা প্রেক্ষাপটে তিনি সম্প্রতি ফেসবুকে নিজের অবস্থান তুলে ধরে মঙ্গল শব্দকে ‘হিন্দুয়ানি’ হিসেবে উল্লেখ করার বিরোধিতা করেন। একই প্রসঙ্গে তিনি ‘রামাদান’ শব্দটি উল্লেখ করে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন। এরপর থেকে সেলিনা আক্তার শেলীকে ওই পোস্টে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি বিকৃত করে আক্রমণাত্মক পোস্ট দেওয়া শুরু হয়। একাধিক পোস্টে তাকে শারীরিকভাবে আঘাতের হুমকিও দেওয়া হয়।
ফেসবুক পোস্টের জেরে গত ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।