বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, চলমান গণ-আন্দোলনের কারণে সরকার বিচলিত, ভীত ও কম্পমান, সেটা নানাভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। ‘১৬ জুন, ১৯৭৫: গণমাধ্যমের কালো দিবস’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানি গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজকের সভায় গোলাম রব্বানি হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যতবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, ততবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশে গণতন্ত্র না থাকায় বহু গণমাধ্যম থাকার পরও তারা জনগণের কথা বলতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, গতকালও একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিকেরা এখন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে ভয় পান।
সংবাদপত্র মালিকেরা বড় ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ। এই সুযোগে সরকারের সিন্ডিকেট নির্ভয়ে দুর্নীতি করতে পারছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৬ জুন শুধু গণমাধ্যমের জন্য না, পুরো জাতির জন্যই কালো দিন। তিনি বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আর বেশি সময় নেই৷
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইনের কারণে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করা যাচ্ছে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, দ্য নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার।