সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত রোববার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ২২ মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী গতকাল সোমবার বিষয়টি জানিয়েছে। তবে এ দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটেছে বা মার্কিন সেনারা কীভাবে আহত হয়েছেন, তা জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, ১০ সেনাসদস্যকে ওই অঞ্চল থেকে বেশি নিরাপদ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের তত্ত্বাবধানকারী সেন্ট্রাল কমান্ড আরও বলেছে, কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এ দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কর্মকর্তারা।
সিরিয়ায় ৯০০ জনের বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই দেশটির পূর্বাঞ্চলে নিযুক্ত। আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে এসব সেনা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে সম্প্রতি বেশ কয়েক বছরে ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী মার্কিন সেনাদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে।
গত ২৫ মার্চ সিরিয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হন। এসব হামলায় মার্কিন একজন ঠিকাদার নিহত হন এবং আরেকজন আহত হন।
ওবামা প্রশাসনকালে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় সিরিয়ায় প্রথম মার্কিন বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের সঙ্গে তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করেছে।
সিরিয়ার নির্জন এলাকাগুলোয় এখনো শত শত আইএস সদস্য ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। সেখানে তাদের প্রতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট অথবা সিরিয়ার সেনাবাহিনীর কোনো সমর্থন নেই। তবে রাশিয়া ও ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর তাদের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আইএস এখনো বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ ইরান ও রাশিয়ার সমর্থনের ওপর নির্ভর করেন। তিনি আমেরিকার বাহিনীকে দখলদার বলে মনে করেন।