যমুনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড ২০১৪ সালে রেফ্রিজারেটর বানানো শুরু করে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল, উন্নত কাঁচামাল, প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী ও উৎকর্ষ সাধনের ফলে যমুনা বর্তমানে বুয়েট কর্তৃক পরীক্ষিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বেস্ট কুলিং পারফরমেন্সের রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড।
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ বর্তমান সময়ে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আশা ও সফলতার কথা হচ্ছে, ২০১০ সালে যেখানে বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার ছিল বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর দখলে, সেখানে ২০২৩ সালে চিত্র পুরোপুরি উল্টো। এখন মাত্র ২০ শতাংশ শেয়ার বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর আর ৮০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দেশি ব্র্যান্ডগুলোর। সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত মান বজায় রাখার ফলে শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনে দিনে গ্রাম বা মফস্সলেও বাড়ছে ফ্রিজের ব্যবহার।
মানুষের ক্রমবর্ধমান এই চাহিদা, সতেজ খাবার ও সুস্থতার কথা মাথায় রেখে যমুনা ইলেকট্রনিকসের ডিপ ফ্রিজে রয়েছে পাঁচ বছরের ওয়েজ এয়ারফ্লোস ও কুলিং সিস্টেম ও উচ্চ ঘনত্বসম্পন্ন ৮৫ মিলিমিটার ইউনিফর্ম ফোমিং, যা আপনাকে দেবে ১২০ ঘণ্টারও অধিক সময় সতেজ ও টাটকা খাবারের নিশ্চয়তা। বিদ্যুৎ না থাকলেও পাঁচ দিন পর্যন্ত দুশ্চিন্তা নেই। শুধু যমুনা ডিপ ফ্রিজে মাছ ও মাংস একসঙ্গে রাখলেও একটির সঙ্গে অন্যটির গন্ধ মেশে না। তাই খাবার থাকে সতেজ ও সুস্বাদু।
এ কারণেই ‘সতেজ খাবারে সুস্থতা, যমুনা ফ্রিজে কোটি মানুষের আস্থা’ স্লোগানে যমুনা ইলেকট্রনিকস এখন বাংলাদেশের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থানীয় কোয়ালিটি ব্র্যান্ড হিসেবে সুপরিচিত। সাশ্রয়ী মূল্য, দীর্ঘস্থায়িত্ব, বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় ডিজাইন, উন্নত কম্প্রেসর, ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পণ্যটি দেশব্যাপী পাওয়া যাচ্ছে।
সংখ্যায় নয়, গুণে ও মানে সেরা হতে চায় যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড। যমুনা রেফ্রিজারেটরগুলোর বিক্রয়োত্তর সেবার দরকার হয় না বললেই চলে। কারণ, যমুনা রেফ্রিজারেটর উৎপাদনপ্রক্রিয়ায় ত্রুটির পরিমাণ সর্বোচ্চ ০.০১ শতাংশ। তারপরও দেশব্যাপী ছড়িয়ে আছে যমুনা ইলেকট্রনিকসের সার্ভিস সেন্টার। প্রতি পাঁচ বছরে কম্প্রেসর পরিবর্তনের হার প্রায় ১ শতাংশের নিচে, যা বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরের তুলনায় অনেক কম। সাধারণত, রেফ্রিজারেটর বা হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদনপ্রক্রিয়ায় ৭ থেকে ১০ শতাংশ ত্রুটি থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড যমুনা, যার উৎপাদনত্রুটি ১ শতাংশের নিচে।
সিলিকন জেল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খাদ্যমান নষ্ট করে। তথ্যটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও আমাদের দেশের অধিকাংশ ক্রেতাই বিষয়টি নিয়ে সচেতন নন। অথচ এই সিলিকন জেল দিয়ে আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি হয়। বাংলাদেশে একমাত্র যমুনা রেফ্রিজারেটরই তার উৎপাদনপ্রক্রিয়ার কোথাও সিলিকন জেল ব্যবহার করে না। যমুনা ফ্রিজগুলোয় আর ৬০০এ গ্যাস ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশবান্ধব ও মানবদেহের ক্ষতি করে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ খরচ ৭০ শতাংশ কম হয়।
আন্তর্জাতিক গুণগত মান ঠিক রাখতে উৎপাদন ব্যয়ও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। এত সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও যমুনা রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার বাজারের প্রচলিত রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার থেকে কম মূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
ক্রেতারাও যুক্তিসংগত মূল্যে টেকসই পণ্য, গুণগত মান, ডিজাইন, পাওয়ার সেভিং সিস্টেম, কম্প্রেসর, ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং অভিনব প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি গভীর মনোযোগ দেন। দেশের সব জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় যমুনা রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, ধারণক্ষমতা ও দামে পাওয়া যাচ্ছে। যমুনার রেগুলার রেফ্রিজারেটর ছাড়াও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজির স্মার্ট ডাবল ডোর, টি ডোর ও ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ ইতিমধ্যেই বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সহজ কিস্তি, শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধায় ক্রেতারা সহজেই যমুনার পণ্যটি ক্রয় করতে পারেন। ১০ বছরের ওয়ারেন্টি ও দেশব্যাপী প্রসারিত যমুনার সার্ভিস সেন্টারগুলোতে ক্রেতারা সহজে বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে পারবেন।
এবারের পবিত্র ঈদুল আজহায় যমুনা ইলেকট্রনিকসের সব প্লাজায় চলছে দেশসেরা নিশ্চিত ডিসকাউন্ট অফার ও ‘মিশন মিলিয়নিয়ার ক্যাম্পেইন’। এই ক্যাম্পেইনে সারা বাংলাদেশের যেকোনো যমুনা প্লাজা থেকে যমুনার পণ্য ক্রয় করে জিতে নিন নিশ্চিত ডিসকাউন্ট, যেখানে পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা নগদ জেতার সুযোগ, সোনার চেইন, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ লাখ লাখ টাকার ঈদ উপহার। এই ঈদে, যমুনার পণ্য কিনলেন তো জিতলেন!