ছেলের থেকে মা ছোট, ৮০ বছরেও জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড

ছেলের থেকে মা ছোট, ৮০ বছরেও জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড

যশোরের শার্শা উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল তথ্যের কারণে আটকে গেছে কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের রায়লা খাতুনের (৮০) বয়স্কভাতা। দেওয়া হয়নি বিধবা ভাতার কার্ডও।

জানা যায়, ৮০ বছর বয়সেও বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কোনো কার্ড পাননি রায়লা খাতুন। ৬ বছর আগে তার স্বামী বিশে মণ্ডল ৯০ বছর বয়সে মারা যান। তারও কোনো ভাতার কার্ড ছিল না। বর্তমানে রায়লা খাতুনের ৭টি সন্তান রয়েছেন। তার বড় ছেলের বয়স প্রায় ৬০ বছর। কিন্তু রায়লা খাতুনের আইডি কার্ডে তার জন্ম তারিখ ১০ অক্টোবর ১৯৭৭ উল্লেখ থাকায় সেই হিসাবে তার বয়স এখন ৪৬ বছর। এ নিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদানে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবু জাফর।

ছেলে আজিয়ার রহমান জানান, আইডি কার্ডে আমার মায়ের বয়স ৪৬ বছর। আর আমি তার ছেলে, আমার বয়স ৬৬ বছর। আইডি কার্ডে আমার মায়ের জন্ম তারিখও ভুল লেখা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আইডি কার্ডে আমার মায়ের নামের বানান ভুল আছে এবং পিতার নাম আমার কার্ডে এক রকম ও মায়ের কার্ডে আরেক রকম। সেটাও সংশোধন করা হয়নি। আমার মায়ের প্রকৃত জন্মসাল ১৯৪৩ সালে। আমরা গ্রামের মানুষ। কে ঠিক করে দেবে সেটাও জানি না। মেম্বারকে কয়েকবার বলেছি। কোনো কাজই হয়নি। আমরা গ্রামের মানুষ অতসব বুঝি না। অভাবের সংসারে চাল থাকে তো তেল থাকে না অবস্থা। আমাদের চেয়ে অনেক স্বচ্ছল মানুষ বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়েছে। আমরা কেন পেলাম না সেটা মেম্বার-চেয়ারম্যানরা ভালো জানে।

শার্শা নির্বাচন অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ঝিকরগাছার নির্বাচন অফিসার অপূর্ব কুমার বিশ্বাস জানান, আমি এখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। বিষয়টি আমি কিছু জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখেছি আইডি কার্ড সংশোধনে তারা কোনো আবেদন করেননি। আবেদন করলে নিয়মানুযায়ী আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, রায়লা খাতুন যদি কোনো বয়স্ক ভাতা অথবা বিধবা ভাতার কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS