এবারের বাজেটকে সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির প্রভাবে যে পরিস্থিতি হচ্ছে, তা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
আজ শনিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাজেট–সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে বিএনপি নেতারা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, সে প্রসঙ্গ টেনে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের, সেই বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাটের বাজেট বলে কী করে? তাদের সময় কী পরিমাণ বাজেট ছিল? আজকে তা কী হয়েছে?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। বাজেটের কৃচ্ছ্রসাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কী ছিল? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে, তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে অস্থির অবস্থা। সারা বিশ্ব সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। বিশ্বে অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার–সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়ন–অবদান অস্বীকার, এগুলো কি মানা যায়?
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেও এ দেশের বিরোধী দলের লোকেরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারেন না। এ দেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধী দল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে, কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না।
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও নেতিবাচক সমালোচনার মোকাবিলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতিবাচক দিকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতির কারণেই মানুষ কষ্টে আছে। সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে।