মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
বার্তায় তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। এ দিনে স্বাধীনতাযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী মা-বোনদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানান তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করে। জীবনবাজি রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ বিজয় ছিনিয়ে আনেন, যা ১৬ ডিসেম্বরকে জাতির অহংকার, আনন্দ ও বেদনার এক মহাকাব্যিক দিনে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল নতুন বাংলাদেশের মূল প্রত্যয়। তবে ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী বারবার সেই প্রত্যয়কে ধ্বংস করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়। স্বাধীনতার পরও দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও তাদের এজেন্টরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার চক্রান্ত চালিয়ে গেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দীর্ঘদিন ধরে একতরফা নির্বাচন, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন এবং বিরোধী মতের ওপর নিপীড়নের মাধ্যমে দেশে ভয় ও নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করা নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি রাখার কথাও উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে এবং বিজয় দিবসের প্রেরণায় বলীয়ান হয়ে ‘২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। এর ফলে দেশে আবার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা জেগে ওঠে।
তিনি বলেন, বর্তমান মুহূর্তে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।