এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদারকে সেভাবে আর পর্দায় দেখা মেলে না। ছয় বছর বিরতি কাটিয়ে গত বছর ‘শরতের জবা’ সিনেমা দিয়ে পর্দায় ফিরেছিলেন, এরপর যেন আবার সেই চিরচেনা নীরবতা তার।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হয়ে দীর্ঘ বিরতি, কাজের নির্বাচন ও ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন এই অভিনেত্রী। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘শরতের জবা’ মুক্তির পর ১২টি সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, কিন্তু সবকটিই ফিরিয়ে দেন নায়িকা।
কুসুম শিকদার বলেন, সিনেমার অনেক প্রস্তাবই এসেছে। চাইলে অবশ্যই কাজ করতে পারতাম। হ্যাঁ বলে কাজে নেমে যাওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু আমি একটু খুঁতখুঁতে, একটু পারফেকশনিস্ট। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মনে হয়েছে কোথাও ঘাটতি আছে, বা যারা বানাচ্ছেন, তারা পুরোপুরি প্রস্তুত নন। তাই সেগুলো করা হয়নি।
‘লাল টিপ’ খ্যাত এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি ধীরগতির মানুষ। ধীরে কাজ করি। আমার বিশ্বাস, ধীরলয়ে কাজ করলে মানটাও ভালো হয়। সিনেমার জন্য এক বছর খুব কম সময়। ‘শরতের জবা’ করতে আমার দুই বছর লেগেছে। আর লেখা ধরলে তো আরো বেশি সময় লাগে। মনমতো গল্প, প্রস্তুত প্রজেক্ট হলে অবশ্যই আমি করব।
কুসুম সিকদার মনে করেন, পর্দায় নিয়মিত থাকা নয়- ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়াটাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বলে রাখা যায়, কুসুম সিকদারকে সবাই অভিনেত্রী হিসেবে চিনলেও মিডিয়ায় এসেছিলেন গায়িকা হিসেবে। কয়েকটি স্টেজপ্রোগ্রামে গান গাওয়ার পর পত্রিকায় তার ইন্টারভিউ বের হয়। পত্রিকায় ছাপা হওয়া কুসুমের ছবি দেখে বন্ধুরা তো মুগ্ধ। তাদের উৎসাহেই ২০০২ সালের লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সবাইকে ডিঙিয়ে এতে প্রথম হওয়ায় চমকে যান নিজেই। সেখান থেকেই শুরু হয় তার নতুনভাবে পথচলা। অবশ্য অভিনয়ে নিয়মিত হন ২০০৬ সাল থেকে।
অভিনয় জীবনের শুরুতে নাটকে ব্যস্ত সময় কাটানোর পর ২০১০ সালে ‘গহীনে শব্দ’ দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান কুসুম সিকদার।পরবর্তীতে ‘শঙ্খচিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। লেখালেখি ও পরিচালনাও করেছেন এই অভিনেত্রী।