ইন্দোনেশিয়ায় গত সপ্তাহে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে ডুবে যাওয়া বেশ কয়েকটি বিধ্বস্ত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছানোর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৪৮ জনে পৌঁছেছে এবং সম্ভবত এটি আরও বাড়তে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি নামে পরিচিত) শনিবার জানিয়েছে, দেশটির পশ্চিম সুমাত্রার আগাম জেলায় উদ্ধারকারীরা আরও মরদেহ উদ্ধার করার পর এ সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের পর হতাহতের সংখ্যা এখন ২৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে, এবং ১০০ জনেরও বেশি এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
বিএনপিবি আরও জানিয়েছে, ভয়াবহ এ বন্যায় ও ভূমিধসে আরও ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
বলেন বিএনপিবি-র প্রধান সুহার্যান্তো বলেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ অনেক মরদেহ এখনও নিখোঁজ, আবার অনেকের কাছে পৌঁছানো যায়নি।
সমগ্র সুমাত্রা প্রদেশে প্রাথমিকভাবে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে পশ্চিম সুমাত্রা আঞ্চলিক দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওহাব শুক্রবার রাতে বলেছেন, ৬১ জন মারা গেছেন এবং ৯০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ইলহাম আরও বলেন, পশ্চিম সুমাত্রা জুড়ে মোট ৭৫ হাজার ২১৯ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং মোট ১০ লাখ ৬ হাজার ৮০৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, উত্তর সুমাত্রায় আরও ১১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, যেখানে আচেহ প্রদেশে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৫ জনে পৌঁছেছে।
মালয় উপদ্বীপ এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত মালাক্কা প্রণালীতে এক বিরল গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের ফলে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের কিছু অংশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে মোট তিনটি দেশে প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা