ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ার প্রভাবে বৃষ্টি ও বন্যায় ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েক জরুরি আইন জারি করেছেন। তিনি ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, আর ১৭৬ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি কমলেও উত্তরাঞ্চলে ঝড়ের প্রভাবে এখনো বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি অব্যাহত আছে। এ পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এছাড়া বিদেশে বসবাসরত শ্রীলঙ্কানদেরও আর্থিক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার আহ্বানে ভারত সরকার দ্রুত সাড়া দিয়ে দুটি বিমানযোগে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। পাশাপাশি কলম্বোয় অবস্থানরত ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ তার রেশন শ্রীলঙ্কার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে হস্তান্তর করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে এক পোস্টের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার মানুষের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ভারত তার ‘ঘনিষ্ঠ সামুদ্রিক প্রতিবেশীর’ পাশে রয়েছে। জরুরি সহায়তা ও মানবিক ত্রাণ সরঞ্জাম ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
২০১৭ সালের পর এটিই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ওই বছর বন্যা ও ভূমিধসে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। চলতি শতকের শুরুর পর থেকে শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা গিয়েছিল ২০০৩ সালের জুন মাসে। সেসময় বন্যায় দেশটিতে ২৫৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।