প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যা বললেন তিশা

প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যা বললেন তিশা

একের পর এক অভিযোগে উঠছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার নামে। ‘যুগল শাড়ি’ বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন অভিযোগ, ভারতীয় এক প্রযোজকের সঙ্গেও নাকি প্রতারণা করেছেন তিশা!

কলকাতার সিনেমা ‌‘ভালোবাসার মরশুম’র প্রযোজক শরীফ খান প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন তানজিন তিশার নামে।

প্রযোজকের অভিযোগ, এম. এন. রাজ পরিচালিত ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন তানজিন তিশা। কিন্তু এই অভিনেত্রীর অসহযোগিতা ও বারবার মিথ্যা বলার কারণে বাধ্য হয়ে তাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়ার পর তিশা অগ্রিম নেওয়া পারিশ্রমিকের অর্থ ফেরত দিচ্ছেন না। তবে এসব অভিযোগকে ‘ফালতু’ বলে মন্তব্য করেছেন তিশা।

গণমাধ্যমে তানজিন তিশা বলেন, এই অভিযোগ ফালতু। আমাকে চুক্তির সময় এক তৃতীয়াংশ পেমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। এই সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ভিসা পাওয়ার অপেক্ষায় দেড়মাস কোনো কাজ করিনি। চুক্তিতে উল্লেখ আছে, শুটিং ক্যানসেল হলে এই অর্থ ফেরত যাবে না।

প্রযোজকের অপেশাদার আচরণের ঘটনা উল্লেখ করে তিশা বলেন, শরীফ খান নামে একজন আমার সঙ্গে মধ্যরাতে ফোন করে কথা বলতে চেয়েছে, এত রাতে আমি কেন কথা বলব? এটা তো পেশাদার আচরণ হতে পারে না। আমি অবশ্য দিনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। আর উনি তো এই সিনেমার প্রযোজকই নন। এর বেশি কিছু বলতে হলে আমার আইনজীবী বলবেন।

তিশার আইনজীবী জসীম উদ্দিন বলেন, তানজিন তিশা চুক্তি অনুযায়ী তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করেছেন। তিনি শিডিউল প্রদান করেছেন এবং কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু ডিরেক্টর ভিসা এবং শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে চুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ অনুযায়ী ডিরেক্টরের ডিফল্ট (অপরাধ) স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিশার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আর্টিস্ট ডিফল্ট ঘটেনি। বরং ভিসা বিলম্ব ও শিডিউল বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে তিশাই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রযোজক দাবি করেছেন, প্রথমে ৩০ হাজার রুপি পরে তিশার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর থেকেই গড়িমসি শুরু করেন তিশা।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS