ক্যারিয়ারের মোড় না ঘুরলে ভয়ানক পরিস্থিতি হতো বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের। তাকে সঠিক সময় বাঁচিয়েছিলেন সালমান খান। তাকে বারবার বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন ভাইজান।
মডেলিং থেকে সিনেপর্দায় উত্থান ক্যাটরিনা কাইফের। তখন সিনেমায় কাজ করার চেষ্টা শুরু করেছিলেন। সেই সময় ‘বুম’ নামের একটি সিনেমাতে সুযোগ পান। সেই সিনেমাটিকে ঘিরে আজও তীব্র বিতর্ক রয়েছে। সেটি নাকি বি-গ্রেড বলিউড সিনেমা।
এরপর জন আব্রাহামের সঙ্গে একটি ভৌতিক ধাঁচের সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ক্যাটরিনা। কিন্তু প্রথম দিন শুটিংয়ের পরই বাদ দেওয়া হয়েছিল তাকে।
হতাশ ক্যাটরিনা বাক্স গুছিয়ে ছাড়তে চলেছিলেন বলিউড। ঠিক করেছিলেন আর কোনওদিনও ফিরবেন না সেই মন খারাপের মুম্বাই শহরে। আর ঠিক সেই সময়ই তার জীবনে আগমন ঘটে সালমান খানের।
ভাইজানের বোন আলবিরা খানের মাধ্যমে ক্যাটরিনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। প্রথম দেখাতেই ক্যাটরিনার ক্যারিয়ার বদলাতে চেয়েছিলেন তিনি। সে সময় ডেভিড ধাওয়ানের পরবর্তী সিনেমা ‘ম্যানে পেয়ার কিউ কিয়া’র জন্য নতুন নায়িকা খুঁজছিলেন সালমান। ক্যাটরিনাকে দেখেই তিনি বুঝে যান, আগামী দিনের স্টারকে পেয়েছেন এবং ডেভিডের সঙ্গে তার আলাপ করিয়ে দেন।
তারপর বাকিটা ইতিহাস। একে-একে সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্যাটরিনা। বলিউডে নিজের জমি শক্ত করেছেন। তারপর আরও একটি ঢেউ আঁছড়ে পড়ে অভিনেত্রীর জীবনে।
ক্যাটরিনার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় রণবীর কাপুরের। সম্পর্ক ভাঙার পর ফের তার মনে হয়েছিল, হয়তো আর কোনওদিনও বলিউডে ভালো কোনও সিনেমায় সুযোগ পাবেন না ক্যাটরিনার। সেই সময় আবারও তার ক্যারিয়ার বাঁচাতে এসেছিলেন সালমান খান। তৈরি করেন ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। এবারও আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি ক্যাটরিনাকে।
তবে ক্যাটরিনা-সালমানের সেই জুটি আবারও পর্দায় ফিরবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের। যদিও ক্যাটরিনার বিয়ের পরই মুক্তি পেয়েছিল টাইগার থ্রি। সালমানের সঙ্গে সিনেমার শুটিংয়ে গিয়েছিলেন বিদেশেও। তবে অনেকেই অনুমাণ করেছিলেন, সেই হয়তো শেষ। এখন দেখার সম্পর্কের দূরত্ব ভুলে আবারও পর্দায় তারা একসঙ্গে ফেরেন কি না!