সামনে বোরো মৌসুম। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে বীজতলা তৈরির কাজ। কিন্তু সেচ সংকট ও লবণাক্ততার কারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সাতক্ষীরার উপকূলের কৃষকদের। গত বছর এসব সংকটের জন্য শ্যামনগরের শ্রীফলকাটি গ্রামের কৃষক ফরিদ হোসেন প্রায় ১ বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে পারেননি। একই অভিজ্ঞতার কথা জানান আটুলিয়ার হাওয়ালভাঙ্গী গ্রামের কৃষক রুহুল আমিনও।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা অপঘাত, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও সেচ সংকটের মতো নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই ফসল উৎপাদন করতে হয় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায়।
এমন পরিস্থিতিতে উপযুক্ত জাত নির্বাচন, জৈব সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সেচ সংকট দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে উপকূলে বিদ্যমান প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে জমিগুলোর পাশে মিনি পুকুর খনন করে সেচ সহজ করতে পারেন কৃষকরা।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিলন কবীর বলেন, বোরো ধান চাষাবাদে অনেক বেশি পানির প্রয়োজন হয়। আমাদের উপকূলীয় এলাকায় এমনিতেই সেচ সংকট রয়েছে, তার ওপর লবণাক্ততা অনেক বেশি। তাই লবণসহিষ্ণু আগাম জাত চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষকরা উপকার পেতে পারেন।
লবণাক্ত এলাকায় চাষের উপযোগী বোরো ধানের জাত
লবণাক্ততাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা করে ক্রমবর্ধমান খাদ্যশস্যের চাহিদা মেটাতে অনবরত গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে।