ওজন নিয়ন্ত্রণে আতাফল যেভাবে সাহায্য করে

ওজন নিয়ন্ত্রণে আতাফল যেভাবে সাহায্য করে

আতাফলের রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাদ্য উপাদান। এছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও আছে আতাফলে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ফলটিতে এমন ধরনের ফাইবার রয়েছে, যা অন্ত্রের জন্য ভালো। অন্ত্র ভালো থাকলে বিপাকহার উন্নত হয়। ফলে ক্যালরি পোড়ে তাড়াতাড়ি। আতা খেতে মিষ্টি। কিন্তু সেই মিষ্টত্ব আসে প্রাকৃতিক শর্করা থেকে। তাই ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে আতা খুব একটা ক্ষতিকর নয় (অবশ্যই যদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যায়)। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে আতাফল কীভাবে সাহায্য করে?

১. শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে না পারলে তা শরীরে জমা হতে থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করলে ক্যালরি ক্ষয় হয়। কিন্তু করতে না পারলে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয়। আতাফল তেমনই একটি ফল, যার মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম।

২. আতাফলে যে ধরনের ফাইবার থাকে, তা সহজপাচ্য। তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এই ফলটি। ফাইবারের গুণে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমে।

৩. ওজন ঝরানোর প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো বিপাকহার উন্নত করা। আতাফলে রয়েছে অ্যাসটোজেনিন নামক একটি উপাদান। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপাদানটি বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিপাকহার বাড়লে ক্যালরি ঝরানো সহজ হয়।

৪. রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ‘স্টেবিলাইজার’-এর মতো কাজ করে আতাফল। তা ছাড়া, আতার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। তাই ডায়াবেটিস থাকলেও এই ফল খাওয়া যায়। রক্তে হঠাৎ শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলে যে ধরনের বিপদ হয়, তা এড়িয়ে চলা যায় আতাফল খেলে।

আর কোন কোন কাজে লাগে?

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজের সম্ভার রয়েছে আতাফলে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজও রয়েছে এই ফলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির জন্যও আতা উপকারী। পেশি মজবুত করতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজের প্রয়োজন রয়েছে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে আতাফল।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS