আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) প্রণয়ন করা হয়নি। এ আইনের অপব্যবহার রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারপরও একটি টেকসই সমাধান দরকার। এই সমাধানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংশোধনী আনা হবে বলে জানান তিনি।
রোববার (২১ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে।
সংলাপ ও আলোচনা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের চাবিকাঠি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সমাজের বিভিন্ন অংশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করতে উৎসাহ বোধ করে। ডিএসএ’র বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছে। তাদের কিছু ইনপুট পেয়েছে এবং এটি পর্যালোচনা পর্যায়ে রেখেছে।
আনিসুল হক বলেন, তবে অনলাইনে নারীদের হয়রানিকারীদের ডিজিটাল স্পেস ব্যবহারের করতে দেওয়া হবে না। সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে দেশ ডিজিটাল স্পেসে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং যারা ডিজিটাল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ও আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্ষা করা দরকার। এজন্য ডিএসএ দরকার। তাই এ আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। তবে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতীয় সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রফেসর ড. কাবেরী গায়েনসহ অনেকে।