মেট্রোরেল স্টেশনের খালি জায়গায় দোকান ও এটিএম মেশিন ভাড়া দিয়ে বছরে ১০ কোটি টাকা আয় করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফারুক আহমেদ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) উত্তরায় ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এমআরটি লাইন-৬ লাইন নিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, মেট্রোট্রেন চলাচল দেড় ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবারে আগের মতোই বিকেল থেকে ট্রেন অপারেট করা হচ্ছে। পিক আওয়ারে এখন ৬ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন চলাচল করছে। যা আগে ৮ মিনিট ছিল। আমরা এটিকে ৫ মিনিটে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি। বর্তমানে ট্রায়াল রান চলছে। ট্রায়াল রান সফল হলে আমরা ডিসেম্বর থেকে ৫ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন চলাচল করার চেষ্টা করবো।
টিকেটের ব্যাপারে তিনি আরও জানান, এমআরটি পাস, র্যাপিড পাস ও একক যাত্রার টিকেট এখন পর্যাপ্ত আছে। গত মাসে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হলেও এখন আর কোনো ঘাটতি নেই। স্টেশনে থাকা টিকেট ভেন্ডিং মেশিন অনেকগুলো মেরামত করা হয়েছে, অনেকগুলো মেরামত করার কাজ চলছে। আমরা সর্বোচ্চ ভেন্ডিং মেশিন চালু রাখার চেষ্টা করছি। যাত্রী পারাপারের গেটগুলোর সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত যাত্রীসেবা উন্নত করার চেষ্টায় আছি।
মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে দোকান ভাড়া দিলে বছরে ১০ কোটি টাকা আয় হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্টেশনগুলোতে যত খালি জায়গা ছিল সেগুলো ভাড়া দেওয়ার কন্ট্রাক্ট ফাইনাল স্টেজে আছে। এসব দোকান থেকে বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা আয় হবে। আর কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট স্টেশনের খালি জায়গা ভাড়া দেওয়ার কাজ চলছে। এই দুইটি বড় স্টেশনের খালি জায়গা ভাড়া দেওয়ার কাজ এখনো ফাইনাল হয়নি।
১৬টি ব্যাংক স্টেশনগুলো এটিএম মেশিন বসিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কিছু ব্যাংক টিকেট দেওয়ার মেশিন বসার কাজ করছে। এরই মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক সবগুলো স্টেশনে টিকেট মেশিন বসিয়েছে।