ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সাইবার বা ভার্চ্যুয়াল জগতে অনেক ফাঁদ আছে। এই ফাঁদে কেউ যদি একবার ফেঁসে যায়, তাহলে তার জীবটাই শেষ হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ অডিটরিয়ামে ডিএমপির পুলিশ পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ শনিবার মেধাবৃত্তি ও উচ্চশিক্ষা সহায়ক বৃত্তি-২০২২ প্রদান করা হয়। সেখানে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
গর্বিত বাবা-মাকে অভিনন্দন জানিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে এই পুণ্যভূমি রাজারবাগ থেকেই থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে দেশমাতৃকার টানে আত্মত্যাগ করেছেন আমাদের পূর্বসূরিরা। তোমরা সেই সব দেশপ্রেমীর সন্তান। শুধু ভালো রেজাল্ট করলে হবে না, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনার সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সময়টা অত্যন্ত পিচ্ছিল। তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য এ পথচলার হাত আরও শক্ত করে ধরতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে’ বাণী ধারণ করে ডিএমপি পরিবারের মেধাবী সন্তানদের অনুপ্রেরণা জোগাতে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। ২০২২ সালে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া; সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৯৩৩ জন শিক্ষার্থীকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এই মেধাবৃত্তি ও উচ্চশিক্ষাসহায়ক বৃত্তি দিয়ে আসছে ডিএমপি।