বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আসন্ন বাজেটের আগে জ্বালানির দাম বাড়ছে না।
শনিবার (২০ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, আমরা পলিসি করছি, আগামীতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করব। অপরিকল্পিত কারখানার কারণে গ্যাস সংকট ঘনীভূত হয়েছে। আমাদের নানান জায়গায় গ্যাস পাওয়া গেলেও তা ওঠানো সম্ভব হয় না। একটা গ্যাসের কূপ খনন করতে ৯ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। এরপর সেখানে গ্যাস নাও পেতে পারেন। অনেকে বলেন, আমরা গ্যাসের ওপরে ভাসছি, এ কথাটা সত্য নয়।
তিনি বলেন, গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ভোলা থেকে গ্যাস আনার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে দেশীয় গ্যাস দিয়ে সার তৈরি করা হতো। কারণ, তখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল খাতে গ্যাসের চাহিদা তেমন ছিল না। সারের পরে এসব গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলো। তবে বর্তমানে দেশে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি খাতে গ্যাসের চাহিদাও বেড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ২ হাজার ৯০৭ এমএমসিএফডি গ্যাসের সাপ্লাই রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বেশি গ্যাস খরচ হয়। বিদ্যুৎ খাতে মোট গ্যাসের ৪২ শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রি খাতে ব্যবহার হচ্ছে ১৮ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৬ শতাংশ, সিএনজিতে ৩ শতাংশ এবং কমার্শিয়াল অ্যান্ড চা খাতে ১ শতাংশ গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে।
ডিসিসিআই ‘স্টেক হোল্ডারস ডায়ালগ অন এনার্জি স্ট্র্যাটেজি : টুওয়ার্ডস অ্যা প্রেডিক্টেবল ফিউচার’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন, এফআইসিসিআই’র সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় প্রমুখ।