বিচারহীনতার কারণে কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানি বন্ধ হচ্ছে না: স্কপ 

বিচারহীনতার কারণে কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানি বন্ধ হচ্ছে না: স্কপ 

বিচারহীনতার কারণে কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানির ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানী মিরপুর শিয়ালবাড়ীর গার্মেন্টসে অহ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন স্কপ নেতারা।

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, স্কপ যুগ্ম সমন্বয়ক আহসান হাবিব বুলবুল, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য সচিব সিকান্দার আলী মিনার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন স্কপ নেতা সাইফুজ্জামান বাদশা, শামিম আরা, মাহবুবুল আলম, ফয়েজ হোসেন, নুর মোহাম্মদ আকন্দ, আজিজুন নাহার, খালেকুজ্জামান লিপন, সরদার খোরশেদ, ইদ্রিস আলী, শান্তনা, শিরিন আক্তার, রাবেয়া আক্তার, রুবাইয়াৎ, আল আমিন ও শাহনাজ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতারা, ফোরামের সদস্য সংগঠন কর্মজীবী নারীর অনেক সংগঠক ও বাংলাদেশ পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন এবং এর সদস্য সংগঠন রাইজিং ফ্যাশন ট্রেন্ড ইউনিয়ন নেতারা। আরও উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের জয়েন্ট ইন্সপেক্টর জেনারেল মাহফুজুল হক ও শ্রম পরিদর্শক মাসুম।

নেতারা অগ্নিনির্বাপণের কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা মেনে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লক্ষ্য করেন, আগুনের সূত্রপাতের স্থল ক্যমিকেল ফ্যাক্টারি থেকে ঘটনার চারদিন পরও আগুন পুরোপুরি নেভেনি, অবিরত ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে এবং ১০০ গজ দূরেও রাসায়নিকের গন্ধে নাক এবং চোখে জ্বালা করছে।

নেতারা বলেন, সংশ্লিষ্ট কারখানার পাশাপাশি একই ধরনের বেশ কয়েকটি কারখানা অবস্থান করছে। কারখানা ভবনগুলোর ঘনত্ব এবং কাঠামো দেখে কোনো ভবনকেই শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধারণা করা যায় না। অর্থাৎ একটা শিল্প এলাকার বা শিল্প পরিচালনার ভবন হিসেবে ওই অঞ্চলের ভবনগুলো গড়ে উঠেনি, তারপরেও সেগুলো কারখানা হিসেবে ব্যবহত হওয়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং কলকারখানা পরিদর্শন প্রতিষ্ঠান (ডাইফ) এর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায়িত্বহীনতার প্রমাণ।

নেতারা বলেন, জীবিকার জন্য কাজ করতে এসে মালিকের মুনাফা লিপ্সায় জীবনহানির অতীতের কোনো ঘটনায় দায়ীকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বড় ধরনের আর্থিক দায় বহন করতে হয়নি।  

নেতারা, কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানি বন্ধে আইনের সংশোধন করে ক্ষতিপূরণ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ক্ষমতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অধিকারের কণ্ঠ হিসেবে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ কঠোর আন্দোনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।  

নেতারা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিবাদ সমাবেশে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS