বাংলাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার সঙ্গে বেড়েছে মিডিয়া কাভারেজও। প্রত্যেকটি বিষয় নিয়েই হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ফলাও করে আলোচনা হয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে টাইগারদের একাদশ প্রসঙ্গে। ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল কেমন হবে, সেটি নিয়েও শুরু হয়ে গেছে পর্যালোচনা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে পড়তে হচ্ছে এ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের মুখে।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই প্রশ্ন ওঠে দল গঠনের ভাবনা নিয়ে। প্রেক্ষাপট নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করেন বিসিবি প্রধান।
‘এখন ক্রিকেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হচ্ছে মিডিয়া। এটাতে আমরা খুশি। আপনারা এতবেশি সম্পৃক্ত, এটা আমাদেরও সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েও আমরা খুশি, কিন্তু ওখানে মনে হয়েছে ক্রিকেট নিয়ে অনেকের কোনো ধারণাই নেই, কিন্তু মন্তব্য করেই যাচ্ছে। আপনারা এখানে যারা আছেন, তারা ক্রিকেট সম্পর্কে প্রত্যেকেই, আমার চেয়ে বেশি জানেন, এমন বহু লোক আছে। চিন্তা করছি আপনাদের কাছে নাম চাইব যে সেরা একাদশ তৈরি করে দেন। তারপর দেখি আপনারা কী বলেন। এটা হলে ভালো হয় না? জানতে তো পারলাম। আপনারা কী মনে করেন কাকে খেলানো উচিত।’
‘আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন- তামিম, লিটন, শান্ত, হৃদয়, মুশফিক, সাকিব। এই ছয়জনের মধ্যে কাউকে তো আপনারা বাদ দিবেন বলে মনে হয় না। ওপেনিংয়ে নাঈম শেখ ও বিজয় (এনামুল হক) তারাও ভালো পারফর্ম করছে, তারাও আসতে পারে। কী আসবে আমি জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ বলছি। আমার ধারণা ওপেনিংয়ে (বাড়তি) একজনকে তারা (টিম ম্যানেজমেন্ট) নিবে। ইনজুরির জন্য ব্যাকআপ লাগবে।’
‘আমার ধারণা তিনটা পেসার খেলবে নিশ্চিত। সাকিব যদি খেলে একটা স্পিনার খেলবে। পাঁচটা বোলার ছাড়া তো বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলবেন না। হাসান আছে, তাসকিন, শরিফুল, ইবাদত, মোস্তাফিজ আছে। যেকেউ খেলতে পারে। চারজন পেসারও খেলতে পারে। যদি তিনজন স্পিনার নিয়ে খেলে তার মানে ছয়টা বোলার নিয়ে খেলতে চায়, তাহলে বাড়তি স্পিনার লাগবে। বাড়তি থাকে একটা জায়গা সেখানে আছে মেহেদী হাসান মিরাজ। আমার মনে হয় না কেউ বলবে মিরাজকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া উচিত।’
‘কোনো কারণে পাঁচ বোলার নিয়ে খেললে একটা সুযোগ আসে একজন বাড়তি ব্যাটার খেলানোর। ওখানে এখন স্কোয়াডে আছে ইয়াসির রাব্বি। স্কোয়াডে নেই কিন্তু যেকোনো সময় ঢুকতে পারে আফিফ, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক। যদি পাঁচ বোলার নিয়ে খেলি, কোনো কারণে একটা বোলার চোটে পড়লে ম্যাচে মধ্যে তাহলে বলটা করবে কে। এজন্য অলরাউন্ডার পেলে ভালো হয়। নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন, প্রধান নির্বাচক) কী করবে আমি জানি না, আমার কথা বলছি।’