ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রাজধানীর যানজট কমাতে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল কাচপুরে সরিয়ে নেওয়া হবে। এ জন্য কাচপুরে ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তিন বছর’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস সায়েদাবাদে আসবে না। আন্তঃজেলা বাসের চাপ কমাতে আমরা ঢাকা থেকে বাস প্রান্ত সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে কাচপুরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল তৈরির জন্য ভূমি উন্নয়ন কাজ চলছে। টার্মিনাল নির্মাণ হলে সায়েদাবাদে আর কোনো বাস আসবে না। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের বাঘাইরে আরও একটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে।
মেয়র বলেন, বেড়িবাঁধ সড়কের রায়েরবাজার স্লুইস গেট থেকে পোস্তগোলা সেতু পর্যন্ত সড়কটি আট লেনে প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যাচাই কমিটির বৈঠকে এ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে ৫৩টি সিগনালে অবকাঠামো নির্মাণ হবে। হাত তোলা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলেও ঢাকা মেগাসিটি কখনই সঠিক দিশা খুঁজে পায়নি। সে করালগ্রাস আমরা ভেঙে দিতে চাই। ৫৩টি চৌরাস্তায় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত স্থাপনের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির কাজ চলছে।
শেখ ফজলে নূর তাপস আরও বলেন, ফুটপাতের হকার নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিএসসিসিতে পথচারীদের চলাচলের পথকে লাল, সবুজ ও হলুদ চিহ্নিত করা হয়েছে। লাল চিহ্নিত এলাকায় কোনো হকারকে বসতে দেওয়া হবে না। সবুজ চিহ্নিত এলাকায় নির্দ্বিধায় ২৪ ঘণ্টা এবং হলুদ চিহ্নিত এলাকায় হকাররা সুনির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে গত তিন বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে যেসব কাজ করেছেন এবং যে কাজগুলো করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছেন, সেগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করেন মেয়র। শেষে কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের নিয়ে তৃতীয় বর্ষপূর্তির কেক কাটেন। পরে নগর ভবনের সামনে মেয়র বেলুন ওড়ান ও গাছের চারা রোপণ করেন।
এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।