বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সরকারি চাকরিতে (প্রার্থীর প্রাক্-পরিচয় যাচাই) বিধিমালা ২০২৫ খসড়া চূড়ান্ত করেছে। পিএসসি বলছে, বিধিমালাটি পরীক্ষার্থীবান্ধব করা হয়েছে। এতে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের হয়রানি বন্ধ হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। বৈষম্য নিরসনে অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পিএসসির এক বৈঠকে এ বিধিমালাসহ আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল সোমবার পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খসড়া বিধিতে সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন কোন পরিস্থিতিতে একজন প্রার্থীকে সরকারি চাকরির জন্য অনুপযুক্ত ঘোষণা করা যাবে। কেন অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা–ও প্রার্থীকে জানানোর প্রস্তাব বিধিমালায় রাখা হয়েছে। অনুপযুক্ত ব্যক্তিকে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদনের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বিধিতে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ চাইলে অনুপযুক্ত প্রার্থীর বিষয়ে পুনঃ তদন্তের সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন–২০১৮–এর অধীন একটি বিধিমালা হিসেবে সব শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর জন্য এটি জারি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বিধিমালাটি জারি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সার্বিক বিবেচনা করবে। বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে এ বিধি প্রয়োজ্য হবে।
এ ছাড়া নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০২৩ সংশোধনের বিষয়ে পিএসসি নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। পরের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। পরীক্ষাটি তিনটি ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।