ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। শুরুতে সাকিবের আঙুলের ব্যথা নিয়ে কোনো শঙ্কা ছিল না। তবে শনিবার (১৩ মে) জানা যায়, আঙুলে ব্যথার পরিমাণ অনেকটা বেশি। এ কারণে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে অন্তত ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
সাকিব একাদশে না থাকা মানে একজন বাড়তি বোলার কিংবা ব্যাটার নিয়ে খেলা। আইরিশদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে টিম ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি ভাবিয়েছে। আর সেভাবেই একাদশ সাজাতে হয়।
কিছুদিন পরেই ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। সাকিব ৬ সপ্তাহের জন্য ছিটকে যাওয়ায় এ সিরিজও টিম ম্যানেজমেন্টকে ভোগাবে। আর সাকিব ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতেও বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। তাই আফগানদের বিপক্ষে টেস্টে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আগামী ১৪ জুন থেকে ১৭ জুলাই মাঠে গড়াবে পূর্ণাঙ্গ এ সিরিজ। আর ১৪ থেকে ১৮ জুনই হতে পারে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি।
জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খানের ভাষ্য, তিনি ডান-হাতের তর্জনীর ডগায় আঘাত পেয়েছেন। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেছে, তার ওই আঙুলের ডগায় চিড় ধরেছে। যা থেকে সেরে উঠতে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে।
তিনি আরও যোগ করেন, সেক্ষেত্রে পুরো জুন মাসই সাকিবকে চোট পরিচর্যা করে যেতে হবে। জুলাই মাসের প্রথম দিকে হয়তো ব্যাট হাতে নিতে পারবেন। নেটে জড়তাহীন এক বা দুটি সেশন অনুশীলন করতে পারলে, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেন।
তবে আশা ছাড়ছেন না, জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তার দাবি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলতে পারবেন সাকিব। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে জুলাইয়ে। সবার শেষে হবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটি।
এ নির্বাচকের বিশ্বাস, টেস্টের পর কোরবানি ঈদের জন্য একটু বিরতি থাকবে। আশা করি, এ সময়ের ভেতরে চোট ভালো হয়ে যাবে। সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে পারবে, চিড় বেশি গভীর না হলে।
ধারণা করা হচ্ছে, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বিবেচনায় ঘরের মাঠে আফগান সিরিজে সাকিবকে নিয়ে ঝুঁকি না-ও নিতে পারেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সাকিবের পরিবর্তে দুজনকে পরখ করে দেখতে পারেন টাইগারদের এই কড়া হেড মাষ্টার। সেক্ষেত্রে রনি তালুকদারের পাশাপাশি একজন বোলারকেও বিবেচনায় রাখছেন লঙ্কান এ কোচ।