ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের নতুন গঠিত এলাকার ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাসে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সকল উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অতি শিগগিরই বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে। নির্বাচন কমিশন নীতিমালা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক নবগঠিত ও পুনঃগঠিত ইউনিয়ন/পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের ভোটার এলাকা বিভক্তির গেজেট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটার এলাকার পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
ফলে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রশাসনিক সীমানা পুনর্গঠন হয়ে থাকলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরুর আগেই সীমানা পুনর্গঠনের গেজেট অনুযায়ী ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে৷ এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ভোটারের তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করবো এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না৷ কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না৷ আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যা।
যে ১৭ লাখ তথ্য রয়েছে তার মধ্যে ১৩ লাখ ২০২২ সালে সংগ্রহ করা বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক৷ এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবো। এই বাদ পড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করবো।
আগামী বছর মার্চের পর থেকে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।