পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার গ্রেপ্তারের জন্য সেনাপ্রধানকে দায়ী করেছেন। একইসাথে তার গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে যে সহিংসতা হয়েছে সেই দায়ও অস্বীকার করেছেন পিটিআই ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘এটি নিরাপত্তা সংস্থা নয়। সেনাবাহিনীতে গণতন্ত্র নেই। যা ঘটছে তাতে সেনাবাহিনী অপমানিত হচ্ছে।’
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পাকিস্তানের বর্তমান সরকার তার দলের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে অভিযোগ করে ইমরান খান বলেন, গত এক বছরে ৫ হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দুটি হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন এবং এই হত্যা প্রচেষ্টার দাবিতে একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তার দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান যা বলেন
ইমরান খান বলেছেন, আমি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে বসে আছি। আমাকে গ্রেপ্তার করার কোনো যুক্তি ছিল না। আমাকে অপহরণ করা হয়েছে। আমাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর তারা প্রথমবারের মতো ওয়ারেন্ট দেখিয়েছে। এমন ঘটনা তখনই ঘটে যখন জঙ্গলে আইন থাকে এবং যেখানে সেনাবাহিনী মানুষকে অপহরণ করে।
‘আইন কোথায়? পুলিশ কোথায়? মনে হচ্ছে দেশে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে ইমরান খান বলেছিলেন, তিনি তার গ্রেপ্তারের পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত নন এবং পরে তিনি জানতে পেরেছেন যে দুই দিনের বিক্ষোভে ৪০ জন নিহত হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর যা ঘটেছে তা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।
এনএবি-র হেফাজতে থাকাকালীন ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ইমরান খান বলেছিলেন, শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির কারণে সেনাবাহিনীকে অপমান করা হচ্ছে।
ইমরান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার অপহরণের বিষয়ে জানতে পেরে মন্ত্রিসভা তাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেয়।