যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেছেন, লংমার্চ থেকে প্রভুত্ব নয়, বন্ধুত্বের বার্তা দিতে চায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লংমার্চ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শনে এসে বিএনপির তিনটি অঙ্গ সংগঠনের পক্ষে এ বার্তা দেন তিনি।
সন্ধ্যা ছয়টায় বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোনায়েম মুন্না।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, লংমার্চ সফল করতে প্রস্তুতি দেখতে আমরা এখানে এসেছি। কোথায় কি করবো সেটা দেখতে এসেছি। এখানে সবার আলোচনা করে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রশ্নে আপোষহীন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগেই বলেছেন দেশের বাইরে আমাদের প্রভুত্ব নেই, বন্ধু আছে। লংমার্চ থেকে আমরা ভারতকে এ বার্তাই দিতে চাই।
এ সময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য ও কসবা-আখাউড়া আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কবির আহমেদ ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন জানান, লংমার্চ সফল করতে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা ঘুরে দেখে গেছেন।
তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) ‘ঢাকা টু আগরতলা’ লংমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় থেকে সকাল ৮টায় শুরু হবে এই লংমার্চ কর্মসূচি।
ভারতের আগরতলা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনগুলো।