অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব থেকে জানমাল রক্ষায় কক্সবাজারের ১১২টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি।
শনিবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার।
সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা দ্রুত আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কথা চিন্তা করে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস সমিতি থেকে ৫৫টি হোটেল আশ্রয়ণকেন্দ্র ঘোষণা করেছি। হোটেলের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ আমরা প্রকাশ করেছি। মোখা আতংকে থাকা লোকজন আমাদের এখানে আশ্রয় নিতে পারেন।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে আতংকে থাকা মানুষের জন্য আমাদের সমিতি থেকে ৫৭টি হোটেল-রিসোর্ট আশ্রয়ণকেন্দ্র ঘোষণা করেছি। আমাদের হোটেলগুলো সবসময় খোলা থাকবে লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন।
এছাড়া সেন্টমার্টিনের সকল হোটেল-রিসোর্টকেও আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মোখা’র প্রভাবে বাতাস বেড়ে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এখানকার প্রায় দু’শতাধিক হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে, সবগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। লোকজন জানমাল রক্ষার জন্য এসব স্থাপনায় আশ্রয় নিতে পারবেন।