‘সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম নীরব থাকে’

‘সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম নীরব থাকে’

সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম নীরব থাকে। তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এ নিয়ে সরব।সীমান্ত হত্যা কাম্য নয়। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।

শনিবার (১৬  নভেম্বর) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয় ‘বে অব বেঙ্গল’  সম্মেলনের এক অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের উদ্যোগে আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনে ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জটিলতার গতিপথ’ শীর্ষক এক অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অধিবেশনে বক্তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতেরও নিরাপত্তা ইস্যু। এই সংকট সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

ভারতের একজন প্রতিনিধি বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দিলে সমাধান হবে না। বাংলাদেশের একজন বক্তা অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের তেমন সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ।

উভয় দেশের বক্তারা তিস্তা ইস্যুর সমাধানে জোর দেন। তিস্তা ইস্যুর সমাধান রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।

অধিবেশনে বক্তারা বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় সীমান্তে বাংলাদেশে। দুই দেশের অনেক সাফল্য রয়েছে। সমস্যাও আছে। তবে সমস্যা সমাধানে এখন বাংলাদেশের নতুন সরকার ও ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

অধিবেশনে বাংলাদেশের একজন বক্তা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে গণহত্যা চালিয়ে ভারতে আশ্রয়ে রয়েছেন। তাকে ফেরত আনতে আপনাদের পরামর্শ কী?

এ বিষয়ে ভারতের প্রতিনিধিরা বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকার এখনো ফেরত চায়নি। তাকে ফেরত দিতে প্রসিডিউর ফলো করা উচিত।

অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রিয়াজ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির, চাকমা সার্কেল প্রধান রাজা দেবাশীষ রায়, যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নবীন মুর্শিদ প্রমুখ।

ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক সেনা কমান্ডার অরুণ কে সাহনি, ভারতের ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল স্টাডিজের সভাপতি অশোক সজ্জনহার, ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত, দ্য হিন্দু পত্রিকার কূটনৈতিক সম্পাদক সুহাসিনী শেরিন হায়দার।

অধিবেশন সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো পারভেজ করিম আব্বাসি।

বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বছরের সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী যোগ দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS