ফের হোয়াইট হাউসে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে নির্বাচনে এক দফা হেরে আবার তার কাছ থেকেই ক্ষমতার চাবি নিচ্ছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সবার আগে কী কী কাজ করবেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এ তা নিয়ে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
> প্রেসিডেন্ট হলে ব্যাপক হারে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একইসঙ্গে প্রথম মেয়াদের যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত যে প্রাচীর তোলার কাজ শুরু করেছিলেন তা শেষ করার কথাও বলেন।
> অর্থনীতির ক্ষেত্রে কর কমানো, বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপ এবং মূল্যস্ফীতিতে ইতি টানার প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রাম্প। তবে পণ্যে শুল্ক বাড়ালে সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা কমতে পারে, এমন শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
> নির্বাচনী প্রচারণায় জলবায়ুবিষয়ক নীতি শিথিলের কথাও জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির পরিবর্তে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিরোধিতা করে মার্কিন গাড়ির উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
> ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনার অঙ্গীকার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেননি।
> কিছু সমর্থকের ইচ্ছার বিপরীতে গিয়ে গর্ভপাতের বিষয়ে জাতীয় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না করার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে এ ইস্যুতে রাজ্যগুলোর অধিকারকে গুরুত্ব দেন তিনি।
> ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্ত কয়েকজনকে ক্ষমা করার কথাও জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের ভুলভাবে বন্দি রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তার, যদিও তিনি এটিও স্বীকার করেন, কয়েকজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।
> সবশেষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চালানো ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনাকারী বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত করার শপথ নেন ট্রাম্প। তার দাবি করেন স্মিথ রাজনৈতিক ‘উইচ হান্ট’ চালাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, দুই-ই পাবেন। রীতি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।