প্রায় দুই দিন ধরে ব্যাটিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে তারা খেলা ছাড়ে দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে।সেদিনই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার আগেই ম্যাচ হেরে যায় স্বাগতিকরা।
দুই ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় যথাক্রমে ১৫৯ ও ১৪৭ রানে। প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ের সময় উইকেট ব্যাটারদের জন্যই ভালো মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সুবিধা করতে পারেনি একদমই। এত দ্রুত খেলা শেষ হবে, তা কি ভেবেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম?
উত্তরে তিনি বলেন, ‘না একদমই না। আমি ভেবেছিলাম খেলাটা হয়তো আরও একটু লম্বা হবে। আমরা এরকমভাবে প্রস্তুত ছিলাম। আমাদের বোলিং ইউনিটের চতুর বোলিংয়ের কারণে কঠিন হয়েছে তাদের ব্যাটিংটা। আমরা চেয়েছিলাম দুবার নতুন বলটা ব্যবহার করতে। ’
‘লাইটের ১০-১৫ মিনিট আগে একবার, তার পরে আবার। হ্যাঁ দারুণ বোলিং হয়েছে। জুটি বেঁধে অসাধারণ বোলিং করেছে ছেলেরা। এমন অসাধারণ বোলিংয়ের ফলেই ২০ উইকেট তুলে ম্যাচটা শেষ করে দিতে পেরেছি আমরা। ’
এই সিরিজ খেলতে আসার আগে উপমহাদেশে গত ১০ বছরে জয়ই ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। টেম্বা বাভুমার চোটে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান এইডেন মার্করাম। ম্যাচ তো বটেই, এখন সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই বাংলাদেশ ছাড়ছে প্রোটিয়ারা। নেতৃত্ব কেমন উপভোগ করেছেন মার্করাম?
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দারুণ উপভোগ করার মত ব্যাপার। ১০ বছরের মধ্যে উপমহাদেশে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতা বেশ ভালো বিষয়। দলের কৃতিত্ব আছে এখানে। প্লেয়ারদেরও কৃতিত্ব রয়েছে। কাজটা সহজ ছিল না যদিও। এর পেছনে অনেক কাজ করতে হয়েছে। সেসবের অবদানও রয়েছে। এর ফলে আমরা ধীরে ধীরে শক্তিশালী দল হতে পেরেছি। সেই সাথে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পেরেছি। দারুণ গর্বের মুহূর্ত আমাদের জন্য। দারুণ স্পেশাল ব্যাপার। ’
বাংলাদেশে আসার আগে এখানকার নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল। রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর বাংলাদেশে আসা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন প্রোটিয়ারা। তবে এখানে এসে আতিথেয়তা দেখে মুগ্ধ মার্করাম।
নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে এখানে আসার আগে বিভ্রান্তি ছিল অনেক। তবে ধীরে ধীরে সেসব কমেছে। এখানে সবার আতিথেয়তা অসাধারণ ছিল। সবাই আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। নিরাপত্তা দারুণ ছিল। সবকিছু অসাধারণভাবে হয়েছে। মাঠের ক্রিকেটে আমরা নিজেদের কাজটা করতে পেরেছি, সফল হতে পেরেছি। বাংলাদেশে দারুণ সময় কেটেছে আমাদের। ’