‘মুলতানের উইকেট বোলারদের জন্য কবরস্থান’— পাকিস্তানের আগ্রাসী শুরু দেখে টুইটটি করেন সাবেক ইংল্যান্ড ব্যাটার কেভিন পিটারসেন। সেঞ্চুরি করে পিটারসেনকে আরও হতাশা উপহার দেন অধিনায়ক শান মাসুদ ও আব্দুল্লাহ শফিক।কিন্তু দিনের শেষটা স্বাগতিকরা কাটাল অস্বস্তি নিয়ে।
৮৬ ওভারের প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান করেছে পাকিস্তান। সৌদ শাকিল ৩৫ ও নাসিম শাহ শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
অনভিজ্ঞ বোলিং লাইন-আপ নিয়েও সফলতা পেতে ইংল্যান্ডকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। চতুর্থ ওভারে ওপেনার সাইম আইয়ুবকে (৪) সাজঘরে ফেরান গাস অ্যাটকিনসন। কিন্তু এরপর আরেক ওপেনার শফিককে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন মাসুদ। ওভারপ্রতি রান তুলতে থাকেন চারেরও বেশি। অধিনায়ক হওয়ার পর কখনো ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর দিতে পারেননি। তার ওপর বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাই হওয়ায় পুড়ছিলেন সমালোচনার আগুনে।
সেই আক্ষেপ এবার দূর করলেন মাসুদ। চার বছর পর পেলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির স্বাদ। জ্যাক লিচের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে তিনি থামলে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ২৫৩ রানের জুটি। ১৭৭ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৫১ রান আসে পাক অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
এর আগে অবশ্য ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন শফিকও। কিন্তু মাসুদ চলে যাওয়ার পর তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অ্যাটকিনসনের শিকার হয়ে ১৮৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০২ রানে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
দুই সেট ব্যাটারকে হারানোর পর কমতে থাকে পাকিস্তানের রানের গতি। শুরুর সেই আগ্রাসন মিইয়ে যায় শেষ বেলায় এসে। ধীরে খেলে বড় জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন বাবর আজম ও শাকিল। কিন্তু ৬১ রানের এই জুটিতে চিড় ধরান ক্রিস ওকস। ডানহাতি এই পেসার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাবরকে (৩০)। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বসিয়ে রেখে বরং নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নাসিমকে পাঠায় পাকিস্তান। এনিয়ে টানা ১৭ ইনিংসে ফিফটির দেখা পেলেন না বাবর।