কানপুর টেস্টের আগেই সাকিব জানিয়ে দেন, মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলতে চান। কিন্তু তিনি আদৌ দেশে ফিরতে পারবেন কি না এ নিয়ে সংশয় আছে।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশে ফেরেননি সাকিব।
তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিসিবি। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো সবুজ সংকেত আসেনি। সোমবার অবশ্য ভিন্ন কথাই জানালেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সোমবার বোর্ড সভার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তার খুব ভালো সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশ থেকে অবসরে যাওয়ার। ’
সাকিবের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ সংসদ সদস্যই গ্রেপ্তারও হচ্ছেন। এক্ষেত্রে সাকিব দেশে ফিরলে তারও গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাকিব আগেই বলে দিয়েছেন দেশে তো বটেই, দেশ ছাড়ার সময়ও যেন তাকে কোনো ঝামেলায় না পড়তে হয়। এ অবস্থায় আইনি কাঠামো কী হবে জানতে চাওয়া হয় ফারুকের কাছে। তিনি বলেন, ‘লিগ্যালটা তো আমি বলতে পারবো না। আমার কথা হলো সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে, আমি তো ছোট মানুষ, বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আমার হাতে ক্ষমতা খুব কম। সাকিবের ব্যাপারটা পুরোপুরি সরকার থেকে আসতে হবে। ’
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সরকার আছে, উপদেষ্টা আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে তার সামগ্রিক দায়িত্ব নেওয়ার। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা, স্টেডিয়ামের ভেতর ও ইনডোরে যাবে, মাঠে খেলবে, অনুশীলন করতে যাবে; এই দায়িত্ব নেওয়াটা তো খুব সহজ। এটা আমরা নিতে পারবো। ’