শাকিব খানকে নিয়ে যা আরম্ভ হয়েছে এসব বন্ধ করা উচিত উল্লেখ করে মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, সে যদি একাধিক বিয়ে করে তাহলে সে করতেই পারে। তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?
সিনেমার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়ই খবরে শিরোনামে উঠে আসেন শাকিব খান। বিশেষ করে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীকে কেন্দ্র করে শাকিবকে অনেকেই নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে থাকেন। শাকিবের ব্যক্তি জীবনে তৃতীয়পক্ষের ‘নাক গলানো’ বন্ধ করা উচিত মনে করেন ডিপজল।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে অভিনেতার আমিনবাজারের বাড়িতে চ্যানেল আই অনলাইনকে ডিপজল বলেন, ‘নায়ক শাকিব খান সৃষ্টির পিছনে আমার হাত আছে। তার জন্ম হয়েছে আমার ছবি ‘কোটি টাকার কাবিন’র মাধ্যমে। তার আগেও শাকিব আমার প্রডাকশনের ছবি করেছে। সবমিলিয়ে সে আমার ২০টির বেশি ছবিতে কাজ করেছে। ফিল্মে একজন শাকিব বানানো অনেক কষ্টের ব্যাপার। সে অনেক কষ্ট করে আজ এই অবস্থানে এসেছে।’
শাকিব খানকে নিয়ে যা আরম্ভ হয়েছে এসব বন্ধ করা উচিত উল্লেখ করে মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, সে যদি একাধিক বিয়ে করে তাহলে সে করতেই পারে। তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়? শাকিব যদি আরও বিয়ে করে রাখতে পারে তাহলে এটা তার ব্যাপার। আর মুসলিম হিসেবে তো চার বিয়ে করা যায়! ইন্ডিয়ান আর্টিস্টরা তো একাধিক বিয়ে করে। অন্য পেশায় যারা আছে তারাও তো একাধিক বিয়ে করে, তাহলে দোষের কী?
ফিল্ম থেকে শাকিব বহু পয়সা কামিয়েছে বলে জানান ডিপজল। তিনি বলেন, তার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে বিয়ে করে খরচ দেয়ার। তার ব্যক্তিগত এসব নিয়ে কথা বলা মাখামাখি বদনাম বন্ধ করা উচিত। বরং শাকিবকে একটু ভালো পরামর্শ দেয়া উচিত। যাতে তার আরও ভালো কিছু করার থাকে।
শাকিব খান স্পষ্ট জানিয়েছে অপু-বুবলী তার জীবনে ‘পাস্ট টেন্স’। তার জীবনের দুই সাবেকের উদ্দেশ্যে ডিপজল বলেন, “অপু-বুবলীর কাছে রিকোয়েস্ট তোমরা চুপচাপ থাকো। কোনো কিছু হলেই মিডিয়ার সামনে এসে কান্নাকাটি করে লোকজনকে জানালে তারা আমাদেরই খারাপ জানবে। চুপ থাকো।”
সিনেমা প্রেমী থেকে শুরু করে মূলধারার নির্মাতা প্রযোজকের কাছে শাকিব খানই ভরসা। কেন শাকিব খানের মতো সুপারস্টার তৈরি হচ্ছে না জানতে চাইলে অভিনেতা, প্রযোজক ডিপজল বলেন, ‘একটা ভালো আর্টিস্ট তৈরি হওয়া চারটে খানি কথা না। নায়িকা এক ছবি করলেই স্টার হয়ে যায়, কিন্তু একজন হিরোকে দাঁড়াতে বহু বছর সময় লাগবে। একজন মান্নাকে ফিল্মে শক্ত অবস্থান পেতে ১৫ বছর লেগেছে, শাকিব হতে দীর্ঘ বছর সময় লেগেছে।’
নতুন নায়ক নায়িকাদের উদ্দেশে ডিপজলের পরামর্শ, ‘গল্পটা ঠিক রেখে সিনেমা করা। তাহলে ভবিষ্যতে তাদের সিনেমায় জায়গা পেতে সুবিধা হবে।’
আলাপকালে ডিপজল জানান, আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘সভাপতি পদে’ নির্বাচন করবেন। এ বিষয়ে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন।
তিনি বলেন, শিল্পী সমিতি নির্বাচিত সদস্যদের বাদ দেওয়া নিয়ে যা ঘটেছে তা কেলেঙ্কারীর মতো। বিশেষ করে নির্বাচিত সহসভাপতি রুবেল ও কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতাকে নোটিশ দিয়ে সমিতি থেকে সরানোর বিষয়টি মোটেও উচিত হয়নি।
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, আমি সাধারণ শিল্পীদের জন্য কী করি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাধারণ শিল্পীরা সবাই জানে। আমি নির্বাচনে ভোট পেলে পাবো, না পেলে না পাবো। তবে আমি অবশ্যই সভাপতি পদে নির্বাচন করবো।