বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ (ভারত) শুকনো মৌসুমে পানি আটকে রাখে। আর বর্ষার সময় সব গেট খুলে পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যা উপহার দেয়।
শুক্রবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেলেখালী গ্রামে ভদ্রা নদীর ভাঙনে ভিটা বাড়ি হারা পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডুমুরিয়ার চাঁদগড়, জালিয়াখালী ও শম্ভুনগর ভদ্রা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ২৯ নম্বর পোল্ডারের তিনটি গ্রাম ‘মানচিত্র’ থেকে হারিয়ে গেছে। এই এলাকার কয়েকশ’ পরিবারকে ভিটামাটি ছাড়তে হয়েছে। নদী সব কিছু কেড়ে নেওয়ায় শত শত পরিবার আজ এলাকা ছাড়া। যারা রয়েছেন, তারাও ভাঙনে সব হারিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এক সময়ের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো নদীর ভয়াল গ্রাসে আজ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। অভাব এখন যাদের নিত্যসঙ্গী।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভদ্রা নদীতে বিলীন হয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মসজিদ, দুটি ঈদগাহ, একটি মন্দির, একটি মাদরাসা, পাঁচটি স্লুইস গেট, জমিসহ হাজার হাজার কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছ।
তিনি বলেন, একদিকে আমাদের বড় সমস্যা দক্ষিণাঞ্চলের বেড়িবাঁধে ভাঙন অপরদিকে সীমান্তের ৫৪টি নদীর পানি ছেড়ে দেওয়া।
ভারত শুকনো মৌসুমে পানি আটকে রাখে। আর বর্ষার সময় একসঙ্গে সব গেট খুলে পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যা উপহার দেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি গোলাম পরওয়ার।
ডুমুরিয়া উপজেলা শরাফপুর ইউনিয়নের বানিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
এ সময় চাঁদগড়, জালিয়াখালী ও শম্ভুনগর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, চাল, ডাল, আলুসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন গোলাম পরওয়ার।