চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চিত্রনায়ক শাকিব খানের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। প্রযোজকের আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে শাকিব খান সাইবার ট্রাইব্যুনালে যে মামলাটি করেছিলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। গেল ১ সেপ্টেম্বর এই আদেশ দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ২৭ মার্চ এই মামলা করেন শাকিব। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে উপস্থিত হয়ে এ মামলা করেন তিনি।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন, রহমত উল্লাহ টেলিভিশনে আমার নামে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি হঠাৎ করে আসেন। হঠাৎ করে বক্তব্য দিয়ে পালিয়ে যান। শাকিব আদালতে অভিযোগ করেন, রহমত উল্লাহ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে আমি দুইবার পালিয়ে এসেছি। অথচ অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। আমার নামে কোনো মামলাও হয়নি।
শুনানি নিয়ে আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সেদিন আদালত থেকে বের হওয়ায় পর শাকিবের আইনজীবী খায়রুল হাসান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, টেলিভিশনে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছি আমরা। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
এদিকে, শাকিব খান এই প্রযোজকের নামে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে আরও একটি মামলা করেন। কিন্তু প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করে বারবার নিজেই আদালতে অনুপস্থিত থেকেছেন শাকিব। এ পর্যন্ত শাকিব খান তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত থেকে মোট ৬ বার সময় চেয়ে নিয়েছেন। বিবাদী রহমত উল্লাহ সব কয়টি তারিখে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে হাজিরা দিতে এলেও দেশে থাকার পরও শাকিব খান যাননি আদালতে।
এ ছাড়া শাকিব খানের বিরুদ্ধেও মানহানির অভিযোগে পাল্টা মামলা করেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দণ্ডবিধি ৪৯৯, ৫০০ ও ৫০১ ধারায় মামলাটি করা হয় বলে জানান রহমত উল্লাহর আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁইয়া। এই মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। পিবিআই ইতোমধ্যেই এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছে বলেও জানা গেছে।