ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবার শিক্ষাবর্ষের শুরুর দিন শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরার কয়েক ঘণ্টা আগে এ হামলার ঘটনা ঘটল।খবর বিবিসির।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট এবং আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য ব্যবহৃত মেট্রো স্টেশনে হামলা হয়েছে। দুটি স্কুল ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, ২২টি ক্রুজ ও এয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিমান বাহিনী ধ্বংস করেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে তিনজন আহত হয়েছেন।
দিনটি ছিল শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন। এ দিন ইউক্রেনে উদযাপনের দিন। কিয়েভের শিশুদের স্কুলে ফেরার দিনই এ হামলার ঘটনা ঘটল।
তবে শিক্ষক ও অভিভাবকরা গান বাজিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন। হাস্যোজ্জ্বল শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মেয়েকে স্কুলে নেওয়ার আগে হামলার সময়ে বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন এক অভিভাবক। তিনি বলেন, আরও একবার দেখা গেল এই দেশ অপরাজেয়।
তিনি বিবিসিকে বলেন, শিশুরা হাসছিল। তবে আপনি শিক্ষকদের চোখেমুখে চাপ দেখতে পাবেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
ক্ষতির মুখে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলিনা ইউক্রেনের একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, বিমান হামলার সতর্কতা সংকেত বাজতেই তিনি কাঁদতে শুরু করেন। তখন তারা সবাই ডরমিটরির বম্ব শেল্টারে দৌড়ে যান।
বিমান হামলার সতর্কতা সংকেত হামলার দুই ঘণ্টা আগেই বাজতে শুরু করেছিল।
পুরো ইউক্রেনেই কয়েক ঘণ্টার জন্য সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছিল। পার্শ্ববর্তী ন্যাটো রাষ্ট্র পোল্যান্ড জানায়, রাশিয়ার হামলার সময় নিজেদের আকাশসীমার সুরক্ষায় তারা তাদের নিজেদের পাশাপাশি মিত্রদের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল।