বাংলাদেশে প্রতি আটজনে একজন নারী থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত। হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে থাইরয়েডের সমস্যা হয়।বিশেষ করে আপনার শরীর যখন যথেষ্ট পরিমাণ থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, তখন এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো প্রকাশ পায়। দুর্বলতা, ওজন কমে যাওয়া, চুল পড়া- এসব থাইরয়েডের সমস্যার কিছু লক্ষণ। এই সমস্যা কমাতে ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে। নিচের পাঁচ ধরনের খাবার আপনাকে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
* কুড়মুড়ে সুস্বাদু ব্রাজিল নাটে আছে সেলেনিয়াম, যা থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে বেশ কার্যকর। একটি ব্রাজিল নাটে রয়েছে ৬৮ থেকে ৯১ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম। প্রতিদিন মাত্র দুই-চারটি ব্রাজিল নাট খাওয়ার অভ্যাস করলেই আপনার শরীরে সেলিনিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। গবেষকরা বলছেন, সেলেনিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার চেয়ে ব্রাজিল নাটের সেলেনিয়াম শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
* অ্যাভোক্যাডো অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামসহ অন্য খনিজ লবণ, যা ব্লাড সুগার ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ ও হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকে।
* গাঢ় সবুজ শাকসবজি শরীরের প্রদাহ কমায়। এসব শাকসবজিতে থাকে শক্তিশালী ও উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যারোটিনয়েডস থাকে যা শরীরের অক্সিডেটিভ ক্ষতি কমায়।
* স্যালমন, ট্রাউট, টুনা, সারডিনস- এসব সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া মাছ সেলিনিয়ামের খুব ভালো উৎস।
* আয়োডিন ও সেলেনিয়ামের সমৃদ্ধ খাবার ডিম, যা থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতে অন্যতম। একটি ডিমে রয়েছে ২০ শতাংশ সেলেনিয়াম। থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকভাবে কাজ করতে শরীরে প্রতিদিন প্রয়োজন ১৫ শতাংশ সেলেনিয়াম। এছাড়াও ডিমে রয়েছে প্রচরি পরিমাণে প্রোটিন ও টাইরসিন।