আরজি কর-কাণ্ডের সুরাহা না হতেই যৌন হেনস্তার অভিযোগে মুখ খুলছেন টলিউডের নায়িকারা। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতেও নারী অভিনেত্রীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ভয়ংকর ঘটনা, এমনকি তাদের সঙ্গে হওয়া যৌন হেনস্তার ঘটনাও প্রকাশ্যে আসছে।
সিনেমা জগতে নারীদের শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্তার খবর সামনে আসতেই ইন্ডাস্ট্রিতে ‘নারী সুরক্ষা কমিটি’ তৈরির জন্য আবেদন করা হয়েছে। এরইমধ্যে মুখ খুললেন টালিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সেই সঙ্গে জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
কাজ হারানোর ভয়েই যৌন হেনস্তা নিয়ে টালিউডের নারী শিল্পীরা কথা বলতে চান না বলেন মনে করেন ঋতাভরী।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেন, কাজ হারানো এবং কাউকে চটিয়ে ফেলাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান এই ইন্ডাস্ট্রির নারীরা। আমি এমন এক অভিনেত্রীর কথা জানি, যার হাত একজন প্রযোজক ধরেছিলেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন বলে তাকে সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থা থেকে ব্যান করা হয়। আর একটা ভয় হলো, অভিযোগ জানালে আমাদেরই দোষ ধরা হয়।
নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতা শেয়ার কথা মনে করে ঋতাভরীত্রী বলেন, একজন খুব নামকরা নায়ক বলেছিলেন, আমার একটি বিকিনি পরা ছবি দেখে কোনো এক প্রযোজক দেখা করতে চান। শুনেই না করে দিই। হিরো বলেছিলেন, এত বড় সুযোগ ফিরিয়ে দিচ্ছিস? তোর কিছুই হবে না, কবিতা লেখ। আরেকবার এক প্রযোজকের সঙ্গে মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। গোটা মিটিংয়েই তিনি আমাকে নানা ধরনের ইঙ্গিত দেন। হঠাৎ অনুমতি ছাড়া হাতটা ধরে ফেলেন। আমি চেঁচিয়ে উঠি। সেদিন আমি বুকের ভেতর ভয় নিয়ে বাড়ি পৌঁছাই।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, অনেকেই ভাবছেন, নামগুলো কেন বলছি না। আসলে চাই না, বিষয়টা ব্লেমগেম হয়ে থেকে যাক। আমার কাছে নাম, প্রমাণ- সবই আছে। মহিলা কমিশন বা কোনো সংগঠনের কাছে যেতে চাই। তার আগেই সরকার যদি পদক্ষেপ নেয়, খুব ভালো হয়।
ঋতাভরীর কথায়, অনেকেই বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে এসে কম্প্রোমাইজ করতেই হবে-এমন কথা কেউ যদি বলেন, বিশ্বাস করবেন না। আমার ক্যারিয়ার এর জ্বলন্ত উদাহরণ। নিজের যোগ্যতায় ভরসা রাখুন। হয়তো বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে, তবে সাফল্য ধরা দেবেই।