ভারতের মণিপুর রাজ্যে অন্তত এক হাজার ৭০০ বাড়ি পুড়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এতে অন্তত ৬০ জন নিহত হন। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে সংঘাতের পর অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। হতাহতের হিসাব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি গৃহহীনদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার সহিংসতা বন্ধে সহায়তা করেছে। এদিকে, অনেক মানুষ এখনও পার্শ্ববর্তী রাজ্য মণিপুরের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছেন। এদিকে, অনেক মানুষ এখনও পার্শ্ববর্তী রাজ্য মণিপুরের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছেন। আসাম সরকার জানিয়েছে, তাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
গত বুধবার (৩ মে) মণিপুরে তীব্র সংঘাত শুরু হয়। ওই দিন মণিপুরের ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন রাজ্যের চুড়াচাঁদপুরে মিছিল বের করে। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে তফসিলি উপজাতিতে তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছে।
ছাত্র সংগঠন তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে। আর সেই শোভাযাত্রাকে ঘিরে শুরু হয় তীব্র সংঘাত। খুন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। চরম পরিস্থিতিতে, দৃষ্টিতেই গুলি করার আদেশ দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তবে ১৪৪ ধারা এখনও বলবত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যে গৃহহীনদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। তাদের জায়গা দেওয়া হবে। অনেক ঘরবাড়ি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। তারা তাদের জীবন হাতে নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে।
মণিপুরে এর আগেও আদিবাসী ও অ-উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মেইতেইরা তফসিলি উপজাতিতে তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এই রাজনৈতিক প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি।