কঠোর ড্রেস কোডের অধীনে হিজাব পরার বাধ্যবাধকতার প্রতি সম্মান না জানানোয় গত ২৪ ঘণ্টায় দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ইসরায়েল ন্যাশনাল নিউজ।
পুলিশের মুখপাত্র মোন্টাজেরোল মাহদির বরাত দিয়ে তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পোশাকনীতির পূর্ববর্তী সতর্কতা না মানার জন্য দুর্ভাগ্যজনকভাবে পুলিশ ১৩৭টি দোকান, ১৮টি রেস্টুরেন্ট ও অভ্যর্থনা এলাকা সিল করে দিয়েছে।
ঘোষণার একদিন আগে পুলিশ জানিয়েছিল, তারা এখন নজরদারি ক্যামেরা ও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইন ভঙ্গকারী নারীদের মোকাবিলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। গত বছর কুর্দি-ইরানি মাহশা আমিনি (২২) পুলিশ হেফাজতে মারা যান।
ড্রেস কোডের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ড্রেস কোড অমান্যকারী নারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এরপরে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরপরই ইরান প্রকাশ্যে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করে।
ইরানের পুলিশ প্রধান আহমাদ রেজা রাদান গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, যারা হিজাব খুলে ফেলবে তাদের ‘আধুনিক সরঞ্জাম’ ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হবে।