‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএসএফ ক্রমাগত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের [বিজিবি] সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলাদেশে কারফিউ থাকার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর সমন্বিত চেক পোস্টগুলোতে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে,’ বিএসএফের একজন জ্যেষ্ঠ অফিসার এএনআইকে বলেন।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সঙ্গে সব ধরনের ট্রেন পরিষেবা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে।
সোমবার (৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আজ থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে।
নিবিড় নজরদারি রাখতে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী আজ কলকাতায় পৌঁছেছেন।
‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএসএফ ক্রমাগত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের [বিজিবি] সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলাদেশে কারফিউ থাকার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর সমন্বিত চেক পোস্টগুলোতে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে,’ বিএসএফের একজন জ্যেষ্ঠ অফিসার এএনআইকে বলেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান তিনি ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
তাকে বহনকারী একটি সামরিক পরিবহন বিমান দিল্লীর কাছে হিন্দন বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। সেখান থেকে তিনি লন্ডনে যেতে পারেন।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল থাকেন ভারতের দিল্লিতে।
এদিকে হাসিনার পদত্যাগের পর প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেলা ৪টার দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করব। সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।’